কবর খুঁড়তেই দেয়ালে ভেসে উঠল ইয়াসিন, অন্যপাশে মিম হা মিম

ডেস্ক রিপোর্ট •

কুড়িগ্রামে মৃত ব্যক্তির দাফন করতে খনন করা কবরের দেওয়ালে আরবি হরফের ন্যায় যে লেখাগুলো দেখা গেছে তা বিসমিল্লাহ, ইয়া ও শিন এবং মিম, হা ও মিম হরফ বলে জানা গেছে।

এদিকে সেই কবরের ছাপ দেখতে উৎসুক জনতার ঢল নেমেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম পানিমাছকুটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে ফুলবাড়ীর ইউএনও ও ওসি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: যে দোয়া করলে আল্লাহ অবশ্যই কবুল করবেন?

নারীরা কি বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে?

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল বুধবার রাতে পানিমাছকুটি গ্রামের ইসরাঈল হোসেন ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তার মরদেহ দাফনের উদ্দেশে পানিমাছকুটি গ্রামের বাড়িতে কবর খনন করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সেই কবর খনন করা হয়। এ সময় স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী প্রথম কবরের গায়ে মাটিতে আরবি হরফের ছাপ দেখতে পেয়ে কবর খননকারী আব্দুল বারী ও আমির আলীকে বিষয়টি জানায়। মুহূর্তেই এই খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উৎসুক মানুষের ঢল নামে। পরে স্থানীয় প্রশাসন খবর পেয়ে শৃঙ্খলা রক্ষায় ওই কবরে পাশে পুলিশ মোতায়েন করে।

মৃত ইসরাঈল হোসেনের ভাতিজা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘আমার চাচা ঢাকায় হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। আজ বৃহস্পতিবার বাদ জোহর তাকে দাফন করার উদ্দেশে বাড়ির পাশে কবর খনন করা হচ্ছিল। কিন্তু সকালে কবর খননের সময় হঠাৎ করে কবরের গায়ের মাটিতে আরবি হরফ দেখা যায়।’

আবু বকর সিদ্দিক আরও বলেন, ‘খননকারীরা কবরের মাটি যত কাটতে থাকেন ততই লেখা স্পষ্ট হতে থাকে। কাটতে কাটতে কবরের আকার বড় হতে থাকলেও আরবি হরফের চিহ্ন মুছে যাচ্ছিল না বরং আরও স্পষ্ট হচ্ছিল। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় আলেমরা এসে নিশ্চিত করেন ছাপগুলো আরবি হরফের।’

স্থানীয় আলেমদের বরাত দিয়ে আবু বকর জানান, আলেমরা বলেছেন যে কবরের গায়ের এক পাশে আরবি হরফে বিসমিল্লাহ, ইয়া ও শিন লেখার হরফের ছাপ এবং অপর পাশে মিম, হা এবং মিম হরফের ছাপ রয়েছে।

কবরে আরবি হরফ লেখার ব্যাপারে ইউএনও তৌহিদুর রহমান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে কবরে আরবি হরফের ছাপ ভেসে ওঠার খবর পেয়েছি। তবে সেগুলো আরবি হরফ কি না, তা আলেমরা ভালো বলতে পারবেন।

খবর পেয়ে ওই কবরের স্থানে পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফুলবাড়ী থানার ওসি রাজীব কুমার রায়।

তিনি জানান, শৃঙ্খলা রক্ষায় দাফন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন

আরও খবর